Thursday, April 25, 2019

চ বাবুটি

হঠাৎ বাঙালিকে চন্দ্রবিন্দু তে পেয়েছে।

#চ_বাবুটি...

কোনো এক অতি বুদ্ধিজীবী যিনি প্রবাসী ভারতীয়দের হাতে ঠ্যাঙানি খেতে খেতে বেঁচে দেশে ফিরেছেন আজ তার কিছু বক্তব্য(অডিও ভিজুয়াল) নিয়ে বিশেষভাবে কিছু ?বোদ্ধা উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। কিছু জন তো তাঁকে এমন আসনে বসিয়েছেন দেখে শুনে মনে হচ্ছে বাঙালির শেষ সহায় সম্বল এই অতি দিগ্বজ ব্যক্তিটি।
যিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতার পোস্টমর্টেম করে বলতে পারেন 'যে কবিতাটি ৪লাইনে শেষ হতে পারত, সেই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ নাকি ৪পাতা লিখেছিলেন শুধু মাত্র একটি ভারী কবিতার বই ছাপবেন বলে'।
সেই তিনিই ঋতুপর্ণর পাশে 'ছত্রাক' সিনেমায় যৌনতার মাপদণ্ডে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালির পোস্টমর্টেম করে বলেন 'ওই জলের উপর গঙ্গাফড়িং দেড় মিনিট ধরে না দেখলেও চলত, অপু কি গঁঙ্গা ফড়িং না দুর্গা?' 'ভুতের রাজার সাথে গুপি বাঘার আড়াই মিনিটের সিকোয়েন্স না থাকলেও ওটা গুপি বাঘাই তৈরি হতে পারত'! এ ছাড়াও বহু আছে, থিসিস হয়ে যাবে লিখলে... সে যাক, আদতে এই বর্ণমালার শেষের চন্দ্রবিন্দুর চ বাবুটির পেট চলে এই মহান কীর্তিগুলোর পোস্টমর্টেম করে, আর তিনি সেই পোস্টমর্টেম গুলির জন্য একটি সুন্দর লাশকাটা ঘর পেয়েছেন। যেখানে অধিকাংশ লাশই হয় পরজীবী, নয় কাতর, নয় ভাষাহীন, নয় ভীতু, নয়ত ভীড়ের চাপে ন্যুব্জ হয়ে বাঙালিয়ানা খুইয়ে প্রায় একটা খিচুড়ি বনে গেছেন।
  তাই, বেশ ডগবগিয়ে ওনার পোস্টমর্টেমের ঘোড়া ছুটছে এই ন্যুব্জ হয়ে যাওয়া কস্মোপলিটন সমাজের বুকে। আর চলবে নাই বা কেন! আমরা না পড়েই পন্ডিত যে! না দেখেই দর্শক, আর না শুনেই শ্রোতা।
শেষে শুধু বলি এই যাদের কীর্তির পোস্টমর্টেম করে উনি চুনো মাছের ঝাল আর বাটি ভরা অম্বল সহযোগে দুপুরের আহারটি সারেন তাঁরা আর তাঁদের কীর্তিগুলি না থাকলে আপনার ওই হাড়জিরজিরে কণ্ঠস্বরের পোস্টমর্টেমগুলি ঠিক কে বা কারা হজম করত আমার জানা বা বোঝার বাইরে!
  এমন একটি মিউজিয়ামে বাঁধিয়ে রাখার মতন জিনিস কেন যে উত্তর কলকাতাইয়া ছাপ মেরে এখনো এই ভারতে পরে আছেন কে জানে! এহেন 'প্রতিভাধর' বঙ্গ ব্যক্তিত্ব বোধকরি এর আগে বাংলার মানুষের চক্ষুগোচর হয় নি!
ভাগ্গিস! তাঁরা বেঁচে গেছেন, মরে গিয়ে.....

No comments:

Post a Comment